হাবড়ার খুনের প্রতিবাদের ভণ্ডামি
আজ সারাদিন বেজায় প্রতিবাদ চলছে। নানা জায়গায়, নানা আকারে। তৃণমূল আর কংগ্রেসের প্রতিবাদ, হাবড়ার গতকালের খুনের। মধ্যমগ্রাম থেকে আজ তেমন ট্রেনও চলেনি, সকালে আমি চলে গেছিলাম একটা বনগাঁয়, নটা নাগাদ, সেটাই ছিল শিয়ালদার দিকে শেষ ট্রেন। গোটাটাই দেখছিলাম আর এই ভণ্ডামিটায় খুব বিরক্ত লাগছিল।
এই ভণ্ডামিটা শুরু হয়েছিল আমরা পার্টিতে থাকতে থাকতেই। ঠিক কবে মনে নেই, ত্রিপুরায় একবার উগ্রপন্থীদের হাতে সিপিএমের বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন, একটা থমথমে হাওয়া তৈরি হয়েছিল। সেদিন মিছিলেও দেখেছিলাম ইয়ার্কি দিতে দিতে চলেছে কয়েকজন, অশান্তিও করেছিলাম তাই নিয়ে। যদি তোমার সত্যিই খারাপ লেগে না-থাকে তো মিছিলে এসো না — ইত্যাদি।
তারপর তো ক্রমে এই ভণ্ডামিটাই সিপিএম হয়ে গেল। এর আগে ব্লগের অন্য একটা লেখায় লিখেছিলাম, খেজুরির ক্যাম্পে পচা খুদ আর একটু দূরে দুরকম মাছে মিল খাওয়া নেতাদের ভণ্ডামি। কাল সেই একই ভণ্ডামি দেখলাম তৃণমূলের।
কাল রাত দেড়টার পর অব্দি ফাংশন চলল। একটা পৌরসভা কী করে এমন বেআইনি একটা কাজ করে এই সব বোকা প্রশ্ন ছেড়ে দিন, এই ফাংশনটা চলল সেদিন রাতেই যেদিন দশ বারো কিলোমিটার দূরে ওই খুনগুলো হয়েছে। এবং সেই রাতেই এই বেলেল্লাপনাটা করছে তৃণমূলেরই পৌরসভা। আগের দু-তিনটে ব্লগ পড়লে গোটাটাই স্পষ্ট হবে।
এবং তার পরে, আজকে, গোটা দিন জুড়ে প্রতিবাদের এই ভণ্ডামির নাটক। আর দুবারই নাকাল হচ্ছে মানুষ। কাল রাতে ঘুমোতে না-পেরে। এবং আজ, ট্রেনে উঠতে না-পেরে।